বাংলা সাহিত্যের সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্যকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে এপিজে সুরেন্দ্র গ্রূপের অন্তর্গত অক্সফোর্ড বুকস্টোর এপিজে বাংলা সাহিত্য উৎসবের উদ্যোগ গ্রহণ করে ২০১৫ সালে,আনন্দনগরী কলকাতায়| সমকালীন বাংলা সাহিত্যের বিবিধ কণ্ঠস্বরের মধ্যে কথোপকথনের মঞ্চ গড়ে দেয় এপিজে বাংলা সাহিত্য উৎসব| “মোদের গরব” বাংলা ভাষা পৃথিবীর সবথেকে প্রাণবন্ত আর সুমধুর ভাষাগুলির মধ্যে অন্যতম| আজকের যুবসম্প্রদায়কে আমাদের সংস্কৃতি, ভাষা ও সাহিত্যের নানাদিকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দায়িত্বই কাঁধে তুলে নিয়েছে এপিজে বাংলা সাহিত্য উৎসব| বাংলা সাহিত্যের এই আনন্দঘন যাত্রাপথকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে এপিজে বাংলা সাহিত্য উৎসব প্রতিজ্ঞাবদ্ধ|
বইমুখো এই শহর কলকাতাকে দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়ে থাকে| কলকাতা শহরে অনেক আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসব অনুষ্ঠিত হয়| তবুও কোথাও যেন এই বাংলার নিজস্ব সাহিত্যের আপন রং প্রকাশ করার জন্য কোনো একটা বড়ো মঞ্চের প্রয়োজন ছিল| এই শূন্যতা পূরণ করে সেই মঞ্চটি তৈরির জন্যই কলকাতার অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যময় গ্রন্থ বিপণী অক্সফোর্ড বুকস্টোর এই অভিনব উদ্যোগটি নিয়েছে| আমাদের সম্মাননীয় নিমন্ত্রিতদের কাছে এবং অতিথিদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ এই উৎসবটিকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য|
এপিজে বাংলা সাহিত্য উৎসব তার অংশগ্রহণকারীদের হাত ধরেই বৃহত্তর হয়ে ওঠার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ| ঐতিহ্যের গভীরে আধুনিকতার শিকড় খুঁজে পাওয়ার এই উৎসব, ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সমগ্র পৃথিবীর বাংলাপ্রেমী মানুষের কাছে তাদের প্রিয় সাহিত্যিকদের কথা শোনার সুযোগ করে দেবেI এভাবেই বিশ্বের দরবারে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে এপিজে বাংলা সাহিত্য উৎসব, ২০১৫ সাল থেকে।
বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলা সাহিত্যের বিবিধ ধারার প্রতিনিধি হিসাবে বহু প্রখ্যাত সাহিত্যিক, কবি, অভিনেতা-অভিনেত্রী, পরিচালক এবং সংগীতজ্ঞরা এই উৎসবে উপস্থিত থেকেছেন| শঙ্খ ঘোষ, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, নবনীতা দেবসেন, সমরেশ মজুমদার, ইমদাদুল হক মিলন, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী, বাণী বসু, অনীশ দেব, প্রচেত গুপ্ত, রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীজাত, হিমাদ্রি কিশোর দাশগুপ্ত, বিনোদ ঘোষাল, সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুবোধ সরকারের মত বিখ্যাত সাহিত্যিক; অরিন্দম শীল, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী, অশোক বিশ্বনাথন, সুমন মুখোপাধ্যায়ের মতো জনপ্রিয় পরিচালক; রূপম ইসলাম, নচিকেতা, স্বাগতালক্ষ্মী দাসগুপ্ত, সুরজিৎ চ্যাটার্জীর মতো সংগীতশিল্পী; ব্রাত্য বসু, খেয়ালী দস্তিদার, সোহাগ সেন, সোহিনী সেনগুপ্তর মতো নাট্যব্যাক্তিত্বদের উপস্থিতি এই অনুষ্ঠানকে আরো অলংকৃত করেছে| সম্মাননীয় ডেপুটি হাই কমিশনার, বাংলাদেশ জনাব জকি আহাদের মতো ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে| এপিজে বাংলা সাহিত্য উৎসব ঋদ্ধি সেনের মতো জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নবীন অভিনেতা এবং বরুণ চন্দের মতো প্রবীণ অভিনেতার মেলবন্ধনে সমৃদ্ধ হয়েছে | জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, আবির চ্যাটার্জী, সব্যসাচী চক্রবর্তী, রাহুল অরুণোদয় ব্যানার্জি, গৌরব চক্রবর্তী, বিশ্বনাথ বসু এবং অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জী, অমৃতা চট্টোপাধ্যায় সহ বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী এই উৎসবের মঞ্চকে আলোকিত করেছেন|